দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ। দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের এবং মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ এনে তিনি বলেছেন, জাতীয় পার্টি দলের নেতাদের অবমূল্যায়ন করেছে। এ কারণে তিনি নির্বাচন করবেন না।

গতকাল বুধবার রাতে রাজধানীর গুলশানের বাসায় অনুসারীদের নিয়ে বৈঠকের পর রওশন এরশাদ এই ঘোষণা দেন।

বৈঠক শেষে তিনি একটি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। 

এর আগে রাত ৯টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে ময়মনসিংহ-৪ আসনে আবু মুসা সরকার নামের দলের এক নেতাকে মনোনয়ন দেন দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের। এই আসনে এত দিন রওশন এরশাদ নির্বাচন করতেন। অনুসারীদের মনোনয়ন না দিলে রওশন এরশাদ নির্বাচনে অংশ নেবেন না, এমন সিদ্ধান্ত জানতে পেরেই তাঁর বিকল্প প্রার্থী দেওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে রাতেই গুলশানের নিজ বাসভবনে অনুসারীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন রওশন এরশাদ। বৈঠকে মনোনয়নবঞ্চিত রওশনপন্থী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।  সাংবাদিকদের রওশন এরশাদ বলেন, ‘আমি দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলাম। এবারও তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছি।

নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম।’ 

নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের এবং মহাসচিব মুজিবুল হক সহযোগিতা না করার কারণে দলের পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের মনোনয়ন দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন রওশন। তিনি বলেন, ‘এমন অবস্থায় দলের নেতাদের অবমূল্যায়ন করার কারণে আমার নির্বাচনে অংশ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’

রওশন এরশাদ এবং তাঁর ছেলে সাদ এরশাদকে ছাড়াই জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থীদের সব ফরম বিতরণ গতকাল বিকেলেই শেষ হয়েছে। গত রবিবার ২৮৭টি আসনে দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করে প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করে দলটি।

দলের নিয়ন্ত্রণ এবং নির্দিষ্ট আসনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে রওশন এরশাদ ও জি এম কাদেরের মধ্যে বিরোধ চলছিল।
পোস্টটি শেয়ার করুনঃ