২০১৬ সালের মার্চ মাসের অগ্রণী সংসদের বিল্ডিং এর নির্মাণের কাজ চলছে……..
![](https://dailyprotibha.com/wp-content/uploads/2023/12/Agroni-High-School.jpg)
![](https://dailyprotibha.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
বাজারে অগ্রণী সংসদের নামনুসারে অগ্রণী উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করেন অনেক তার মধ্যে সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক মরহুম আলী আহাম্মদ আল শাহজাহান ভূঁইয়া ও অধ্যাপক মোহাম্মদ উল্যাহ
এবং সহকারী শিক্ষক আবুল খায়ের মাষ্টারসহ নাম না জানা আরো অনেকে। এ সময়ে অত্র এলাকার শিক্ষা উন্নয়নের জন্য আরো তিনটি গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত ও গৃহীত হয়। যেহেতু এলাকার একমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিলো পাঠান নগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৮৫ সালে অগ্রণী সংসদের উদ্যেগে সর্বপ্রথম পাঠানগড় অগ্রণী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়। জমিদাতা হলেন ১। আবদুর রউপ, ২। আবদুল হক (হকধন), উক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘর নির্মাণের জন্য টিন ও আসবাবপত্র, শিক্ষকের বেতন এবং স্কুলের মাঠ ভরাট করেন তৎকালীন মন্ত্রি জাফর ইমাম বীর বিক্রম। এরপর স্কুলের নাম করা হয় পাঠানগড় জাফর ইমাম প্রাথমিক বিদ্যালয়। ১৯৯৫ সালে কাতালিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সোনাপুর গন্ধব্যপুর কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে উক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলো সরকারী করণ করা হয়। ১৯৮১ সালে প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়ে অগ্রণী সংসদ, অগ্রণী উচ্চ বিদ্যালয়, পাঠাননগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পাঠাননগর আমিনিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, কাছারী বাজার দোকানপাট, রতননগর ভূমি অফিসিয়ালসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ঘরসহ ঘূণিঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে যায়। অগ্রণী উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্র হাজিরা খাতা অদূরে ফুলগাজী উপজেলা আওতায়ধীনে বক্স মাহমুদ বাজারে উঠে ফেলে। অত্র বাজারে টিউবলে মাথা উড়ে নিয়ে যায় এবং নিহত সংখ্যা প্রায় ৫-৬ জন এরমধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য থাকে যে ধান চুড়াণী কলঘর বদিমেস্ত্রী ও তার ছেলে এ ঝড় তুফানে চিৎকারে শব্দে বাপ ছেলে জড়িয়ে ধরলে একসাথে মৃত্যু হয় এবং একই করবে দাফন সম্পূন্ন হয় এবং কি অনেকের হাত পা অথবা মাথা কেটে যায়। এ বলে ভাষা প্রকাশ করা যায় না। মাত্র ৩০ সেকেন্ডে ঘূণিঝড়ে সবকিছু এলোমেলো হয় যায়। ধ্বংস প্রাপ্ত ঘর পূর্ণনির্মাণের অত্র এলাকার জনগণের ও মরহুম ইঞ্জিনিয়ার শাহ আলম মজুমদার এবং তৎকালীন মন্ত্রি জাফর ইমাম আর্থিক সহযোগীতা কার্যকারী পরিষদের সার্বিক তত্বাবধানে অগ্রণী সংসদ পূর্ণজীবিত লাভ করে। অগ্রণী সংসদ এলাকা তথা সার্বিক উন্নয়নের কর্মেকান্ডে সাথে ওথোপোতভাবে জড়িয়ে আছেন। এ অগ্রণী সংসদে পাঠান নগর ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম সপ্তাহে দুই দিন। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উত্তরাঞ্চলের কথা বিবেচনা করে অগ্রণী সংসদে বসে পঞ্চগায়ে লোকজনদের কথা শুনতেন এবং বিচার করতেন। ভবিষ্যতে তথ্য-প্রযুক্তি, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। সম্পত্তি অগ্রণী সংসদের কার্যালয়ে নির্মাণের কাজ চলছে । সাংগঠনিক বিপর্যয়ে এবং কার্যালয়ে টিনের ঘরটি নষ্ট হয়ে যাওয়া অগ্রণী সংসদের লোকজরেরা হতাশ হয়ে যায়। সাংগঠনিক দূর্ভলতা কাটিয়ে ওঠতে গতিশীল করার লক্ষ্যে পাঠান নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল হায়দার চৌধুরী জুয়েলের পরামর্শে এবং সহযোগিতায় একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা এবং (৫ তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। অগ্রণী সংসদ শিক্ষা, মানব সেবা ও সার্বিক উন্নয়নের এলাকার মধ্যমণি হিসেবে বিগত ৪৫ বছরে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করিয়া আসিতেছে। এলাকার সার্বিক উন্নয়নের অব্যাহত রাখতে অগ্রণী সংসদকে টিকিয়ে রাখা এলাকার শিক্ষিত সমাজ সদাস্বচেষ্ট।