২৯ ডিসেম্বর- ২৩ইং, ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার ৬নং পাঠান নগর ইউনিয়নের শিলুয়া গ্রামের শীলঘরকে পর্য্টন কেন্দ্র স্থাপনের দাবী জানিয়েছেন এলকাবাসী। জীবন্ত শীলা খন্ডকে কেন্দ্র করে এলাকার নাম হয়েছে শিলুয়া।

শিলুয়ার বিস্তৃত এলাকায় এ শীলকে কেন্দ্র করে ৪টি গ্রাম পূর্ব শিলূয়া, পশ্চিম শিলূয়া, মধ্যম শিলুয়া ও বেদরাবাদ শিলুয়া নামকরণ করা হয়েছে। এ এলাকর পূর্বনাম ছিল রতননগর।

ঐতিহাসিক শিলূয়ার এ শীলঘরে রাজ সিংহাসনের আকারের বড় শীলের দুই পাশে ২টি শিলা খন্ড রয়েছে। প্রতিদিন দর্শনার্থীরা এ শীল গুলো দেখতে আসেন। এগুলো জীবন্ত শীলা। দৃষ্টিনন্দন শিলাগুলো কালে কালে যুগে যুগে বড় হয়ে আসছে।

শীলুয়ার ঐতিহাসিক শীলঘরের পাশে ঐতিহাসিক চৌধুরী বাড়ী। ঐতিহ্যবাহী এ বাড়ীর কৃতি সন্তান ও সুপ্রতিষ্ঠিত বাড়ীর লোকেরা চৌধুরী বাড়ীতে হাইরাইজ ও দৃষ্টি নন্দন স্থাপনা তৈরী এবং এলাকার অবকাঠামো উন্নয়নের ফলে শীলঘরকে ঘিরে মনোরম পরিবেশে তৈরী হয়েছে। প্রসস্থ রাস্তা ঘাট, বিশাল পুকুর, সবুজ শ্যামল গাছ গাছালী, জন প্রশাসনের কর্তাদের আবসস্থল, এ যেন একটি প্রাণ চঞ্চল এলাকা।

প্রতি শুক্রবার শত শত গরীব ও অসহায় মানুষের কিছু সহযোগিতা পাওয়ার আশায় এবং রাজ প্রাসাদে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। এ যেন ধনী গরিবের মিলন মেলা।

শীল ঘরের দীর্ঘদিনের পরিচর্যা কারী মঞ্জুরুল আহম্মদ চৌধুরী জানালেন, তার বয়স ৭৫ বছর। ছোটকাল থেকে তিনি এ শীল গুলো দেখে আসছেন। তার শিশুকালে এ শীলগুলো তিনি ছোট দেখেছেন। এখন শীলগুলো বড় হয়েছে। তিনি জানানি এগুলো জীবন্ত শীল। এ ঐতিহাসিক ও রহস্যকৃত শীলগুলো সংরক্ষণ কারার জন্য তৎকালীন পাকিস্তান সরকার ১৯৬৮ সালে প্রত্নতত্ব বিভাগ ব্যবস্থা নিয়েছে।

শীল ঘরের দীর্ঘদিনের পরিচর্যা কারী মঞ্জুরুল আহম্মদ চৌধুরী

বর্তমান প্রজন্মের অহংকারশীল চৌধুরী বাড়ীর কৃতি সন্তান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল ছাগলনাইয়া উপজেলার চেয়ারম্যান হওয়ার পর এ শীল ঘরের সৌন্দর্য্ বৃদ্ধির জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আশে পাশের রাস্তা সমূহ প্রসস্ত ও পাকা করণ এবং অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন।

ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবা উল হায়দার চৌধুরী সোহেল

চৌধুরী বাড়ীর অপর কৃতি সন্তান ৬নং ইউনিয়নের বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান রফিকুল হায়দার চৌধুরী জুয়েল চেয়ারম্যানের একান্ত চেষ্টায় এবং আন্তরিকতায় প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী শিলুয়ার এ শীল দেখতে আসছেন। তিনি জানান শীলঘর এলাকায় একটি পর্য্টন কেন্দ্র স্থাপন করলে পর্য্টকদের দৃষ্টি আরো আকৃষ্ট হবে। তিনি বলেন, শীলঘর এলাকার যাদুঘর নির্মাণ, লাইব্রেরী স্থাপন, শৌচাগার ও বিশ্রামাঘার নির্মানসহ ঐতিহাসিক তথ্য উপাত্ত্ব সংরক্ষনের ব্যবস্থা এবং প্রচার প্রচারণের ব্যবস্থা করলে পর্য্টকদের দৃষ্টি আকর্ষ্ণ হবে।

এলাকা সমৃদ্ধ হবে। শীলঘরের আশে পাশের স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা শিলা সম্পর্কে জানতে পারবে। তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জুয়েল চৌধুরী শীলুয়ার ও শীল ভ‚পৃষ্ঠে কখন দেখা গিয়েছে কেহ সুনির্দিষ্ট ভাবে বলতে পারছেন না। এলাকায় প্রতিশ্রুতি আছে যে, আনুমানিক ৪০০ বছর পূর্বে এলাকায় শীলটি দেখা গেলে শীলের নাম অনুসারে শীলুয়া গ্রাম নামকরণ কর হয়। বর্তমান এ শীলকে কেন্দ্র করে পশ্চিম শিলূয়া, মধ্যম শিলুয়া, পূর্ব শিলুয়া, পূর্ব শিলুয়া ও বেদরাবাদ শিলুয়া গ্রামে ৪টি গ্রাম আছে।

খুলনা থেকে আগত কৌতুহলী ক্ষুদে শিক্ষার্থী ওয়সিবুল ইসলাম তার পরিবার নিয়ে জীবন্ত শীল দেখতে এসেছে

ঐতিহাসিক চৌধুরী বাড়ীর উদিয়মান যুবক শোভন চৌধুরী শীলঘরকে নিয়ে গর্ব করে বলেন এ বাড়ীতে জন্মগ্রহণ এবং শীলঘর আমাদের অহংকার। ঐতিহাসিক এ শীল আমাদের গর্বিত পরিচয় বহন করে। তিনি এ সকল জীবন্ত শীল নিয়ে গবেষণা করা এবং এলাকার অবকাঠামো উন্নয়ন করে সুন্দর শ্যামল পরিবেশ সৃষ্টি করার প্রচেষ্টা এবং সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।

শোভন চৌধুরী

উপজেলা চেয়ারম্যন মেজবাউল হায়দর চৌধুরী সোহেল শীল ঘর, পাঠান নগর ও পঞ্চগ্রাম ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে অমুল পরিবর্তন হয়েছে। তিনি পঞ্চাগায়েঁর অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অগ্রনী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তীতে প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িতদের শুভ কামনা করেন।
পাঠান নগর ইউপির চেয়ারম্যান ও অগ্রণী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রফিকুল হায়দার চৌধূরী অগ্রণী উচ্চ বিদ্যালয়ের সূবর্ণ জয়ন্তীতে প্রতিষ্ঠাতা, ছাত্র শিক্ষক, এলাকা বাসীকে অভিনন্দন জানিয়ে শিক্ষাক্ষেত্রে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শুভ কামনা করেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী অগ্রণী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তীতে প্রাক্তন ছাত্র সমিতি কর্তৃক ১লা জানুয়ারী ২৪ইং, বিকাল ৩ ঘটিকায় প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক ও অবসর প্রাপ্ত শিক্ষকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ