মোঃ শরিফুল ইসলাম রাজু
স্টাফ রিপোর্টার-

শুক্রবার (৮ মার্চ) ফেনী জেলা প্রগতিশীল নাগরিক ফোরামের উদ্যোগে সাগর কন্যা সোনাগাজী উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলে বঙ্গবন্ধু ইকোনোমিক জোন,সোনাগাজীর মুহুরী প্রজেক্ট ও মুছাপুর ক্লোজার পর্যন্ত সমুদ্র সৈকতে পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনের দাবীতে শুক্রবার (৮ই মার্চ) সকাল ৮ টায় সংগঠনের আহ্বায়ক এডভোকেট সমীর চন্দ্র কর এর নেতৃত্বে ফেনীর মুক্ত বাজার সংগঠনের কার্যালয় থেকে দাবি আদায়ের উদ্যেশ্যে রওয়ানা করে।

এসময় ফেনী জেলা প্রগতিশীল নাগরিক ফোরাম সোনাগাজীতে বঙ্গবন্ধু ইকোনোমিক জোন ভ্রমন করে দুপুরে মুহুরী প্রজেক্ট এলাকায় যাত্রাবিরতী করে বিকেলে মুছাপুর ক্লোজার পরিদর্শন শেষে সন্ধায় সোনাগাজী জিরো পয়েন্টে এক পথ সভা করেন।

এসময় ফেনী জেলা প্রগতিশীল নাগরিক ফোরামের আহ্বায়ক এডভোকেট সমীর চন্দ্র কর এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ফেনী জেলা ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ’র আহ্বায়ক নাছির উদ্দিন ভূঁঞা সবুজ,ফেনী জেলা প্রগতিশীল নাগরিক ফোরামের সদস্য সচিব কাজী জামসেদুল ইসলাম সুজন,ফেনী জেলা প্রগতিশীল নাগরিক ফোরামের যুগ্ন আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম সুজন,সূদস্য শহিদুল ইসলাম কাজী,বাংলাদেশ নজরুল সেনা ফেনী শাখার আহ্বায়ক মোঃ আলী,সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম রাজু,ফেনী জেলা প্রতিবন্ধী কল্যাণ সংস্থার চেয়ারম্যান মোঃ লোকমান হোসেন ভূঁঞা ও ফেনী জেলা গৃহকর্মী শ্রমিক ইউনিয়নের সভানেত্রী সুলতানা আক্তার বকুল।

এসময় বক্তারা বলেন,ফেনীর সোনাগাজীর দক্ষিণাঞ্চলে সমুদ্র সৈকতে পর্যটন জোন ঘোষণা করলে ফেনীর ব্যাপক উন্নয়ন হবে।তাহলে ফেনীর মানুষকে আর পর্যটন ভ্রমনের জন্য সিলেট,কক্সবাজার,টেকনাফ পতেঙ্গা সহ দেশের কোথাও আর যেতে হবেনা।ফেনীর সকল মানুষ ফেনীতেই অবসর কাটাতে পারবেন এজন্য সোনাগাজী উপজেলাবাসী সহ ফেনীর সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

এসময় নাগরিক ফোরামের নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ ও ফেনী-১,২ এবং ৩ আসনের সংসদ সদস্যদের সহযোগীতা কামনা করেন।

এসময় সংগঠনের আহ্বায়ক এডভোকেট সমীর চন্দ্র কর বলেন,সোনাগাজীর দক্ষিণাঞ্চলে সী-বীচ ও পর্যটন জোন ঘোষনা এবং বাস্তবায়নের জন্য ফেনী জেলা প্রগতিশীল নাগরিক ফোরাম লিখিত স্মারকলিপি জনপ্রতিনিধিদের বরাবরে প্রদান করবেন এবং সোনাগাজী পৌর মেয়র বরাবর এক স্মারকলিপি প্রদান করবেন।

উক্ত স্মারক লিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,ফেনী একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মন্ডিত জেলা।এ জেলার তিনদিক ভারতের ত্রিপুরার পাহাড়িয়া গাছ গাাছালীতে পরিবেষ্টিত অপরুপ সাজে সজ্জিত হয়ে দক্ষিণে বঙ্গপোসাগর সাথে একাকার হয়ে এক নান্দনিক রূপ ধারণ করেছে।মুহুরী-কহুয়া, সিলোনিয়া নদী,কালিদাস সহ অসংখ্য নদী নালা খাল বিল এ জেলাকে সমৃদ্ধ করেছে।এক সময়ে পাহাড়িয়া ঢলে প্লাবিত হয়ে এ জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল বন্যায় কবলিত হতো।একদিকে পাহাড়িয়া বন্যা অন্যদিকে জোয়ারের কারণে লবণ পানিতে ক্ষতিগ্রস্থ হত কৃষকরা।বিশিষ্ট সাংবাদিক আবদুস সালাম সেরাজুল হক ঢল কমিটি ফেনীর রাজা খাজা আহাম্মদ ও সাংবাদিক ও রাজনীতিবীদ মাহবুবুল হকদের প্রচেষ্ঠায় উনিশ শতকের ষাটের দশকে এ এলাকায় মুহুরী প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।১৯৮৩ সালে মুহুরী প্রকল্প আংশিক বাস্তাবায়ন হলে ফেনী চট্টগ্রামের মিরশ্বরাই ও কুমিল্লার দক্ষিণাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা সেঁচের আওতায় আনা। কিন্তু অদ্যাবদী শুধুমাত্র ২৩ হাজার হেক্টর ভূমি সেঁচের আওতায় এসেছে অর্থাৎ মুহুরী প্রকল্প এখনও পূর্ণ বাস্তবায়ন হয় নাই।মুহুরী প্রকল্পের কারণে সোনাগাজী ও মিরশ্বরাই ঘেষা বিস্তীর্ণ অঞ্চল চর জেগে উঠে এখন সমৃদ্ধ ভূমিতে পরিণত হয়েছে। উক্ত ভূমিতে বঙ্গবন্ধু ইকোনোমিক জোন স্থাপিত হয়েছে।সোনাগাজীর দক্ষিণে বঙ্গবন্ধু ইকোনোমিক জোন হইতে মুছাপুর ক্লোজার পর্যন্ত সমুদ্র সৈকত এলাকায় সী-বিচ এর প্রকল্প গ্রহণ করলে অত্র এলাকায় একটি পর্যটন জোন স্থাপন করলে সোনাগাজীর দক্ষিণে জেগে উঠা চর উন্নত হবে।রাস্তা ও চলাচলের অবকাঠামো উন্নয়ন করলে ফেনী একটি উন্নত জেলায় পরিণত হবে। এমতাবস্থায় ফেনীর সোনাগাজীর দক্ষিণে সমুদ্র সৈকত পর্যটন জোন ঘোষণা করে কার্যকর ব্যাবস্থা গ্রহণ করার প্রার্থনা করিতেছি।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ