ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলে বঙ্গবন্ধূ ইকোনোমিক জোন হইতে মুছাপুর ক্লোজার পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলে সমুদ্র সৈকতে পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনের দাবীতে ৮ই মার্চ শুক্রবার প্রগতিশীল আইনজীবি সমিতির নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধু ইকোনমিক জোন ও মুছাপুর ক্লোজার এলাকা পরিদর্শন করবেন বলে জানিয়েছেন ফেনী জেলা প্রগতিশীল নাগরিক ফোরামের আহ্বায়ক এডভোকেট সমীর চন্দ্র কর।

তিনি বলেছেন ৮মার্চ শুক্রবার সকাল ৬টায় ফেনী মুক্ত বাজার থেকে সোনাগাজীতে বঙ্গবন্ধু ইকোনোমিক জোনে যাবেন এবং দুপুরে মুহুরী প্রজেক্ট এলাকায় যাত্রাবিরতী করবেন বিকেলে সোনাগাজী জিরো পয়েন্টেে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন এবং সন্ধায় মুসাপুর ক্লোজারে সমুদ্র সৈকত পরিদর্শন করবেন।

তিনি বলেন ফেনীতে বিভিন্ন অঞ্চলে পর্যটন স্পট রয়েছে।ফেনীর দক্ষিণাঞ্চলে পর্যটন জোন ঘোষণা করলে ফেনীর ব্যাপক উন্নয়ন হবে। ফেনীর মানুষ অবসর কাটাতে পারবেন এজন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

সন্ধায় সোনাগাজীতে সাংবাদিক সম্মেলন করার পরই ফেনীর ৩ আসনের বরাবরে এক স্মারক লিপি প্রদান করা হবে উক্ত স্মারক লিপির অনুলিপি ফেনী জেলা প্রশাসক, সোনাগাজী নির্বাহী অফিসার,ও  সোনাগাজীর পৌর মেয়রকে প্রদান করা হবে।উক্ত স্মারক লিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,ফেনী একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মন্ডিত জেলা।এ জেলার তিনদিক ভারতের ত্রিপুরার পাহাড়িয়া গাছ গাাছালীতে পরিবেষ্টিত অপরুপ সাজে সজ্জিত হয়ে দক্ষিণে বঙ্গপোসাগর সাথে একাকার হয়ে এক নান্দনিক রূপ ধারণ করেছে।মুহুরী-কহুয়া, সিলোনিয়া নদী,কালিদাস সহ অসংখ্য নদী নালা খাল বিল এ জেলাকে সমৃদ্ধ করেছে।এক সময়ে পাহাড়িয়া ঢলে প্লাবিত হয়ে এ জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল বন্যায় কবলিত হতো।একদিকে পাহাড়িয়া বন্যা অন্যদিকে জোয়ারের কারণে লবণ পানিতে ক্ষতিগ্রস্থ হত কৃষকরা।বিশিষ্ট সাংবাদিক আবদুস সালাম সেরাজুল হক ঢল কমিটি ফেনীর রাজা খাজা আহাম্মদ ও সাংবাদিক ও রাজনীতিবীদ মাহবুবুল হকদের প্রচেষ্ঠায় উনিশ শতকের ষাটের দশকে এ এলাকায় মুহুরী প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।১৯৮৩ সালে মুহুরী প্রকল্প আংশিক বাস্তাবায়ন হলে ফেনী চট্টগ্রামের মিরশ্বরাই ও কুমিল্লার দক্ষিণাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা সেঁচের আওতায় আনা। কিন্তু অদ্যাবদী শুধুমাত্র ২৩ হাজার হেক্টর ভূমি সেঁচের আওতায় এসেছে অর্থাৎ মুহুরী প্রকল্প এখনও পূর্ণ বাস্তবায়ন হয় নাই।মুহুরী প্রকল্পের কারণে সোনাগাজী ও মিরশ্বরাই ঘেষা বিস্তীর্ণ অঞ্চল চর জেগে উঠে এখন সমৃদ্ধ ভূমিতে পরিণত হয়েছে। উক্ত ভূমিতে বঙ্গবন্ধু ইকোনোমিক জোন স্থাপিত হয়েছে।সোনাগাজীর দক্ষিণে বঙ্গবন্ধু ইকোনোমিক জোন হইতে মুছাপুর ক্লোজার পর্যন্ত সমুদ্র সৈকত এলাকায় সী-বিচ এর প্রকল্প গ্রহণ করলে অত্র এলাকায় একটি পর্যটন জোন স্থাপন করলে সোনাগাজীর দক্ষিণে জেগে উঠা চর উন্নত হবে।রাস্তা ও চলাচলের অবকাঠামো উন্নয়ন করলে ফেনী একটি উন্নত জেলায় পরিণত হবে। এমতাবস্থায় ফেনীর সোনাগাজীর দক্ষিণে সমুদ্র সৈকত পর্যটন জোন ঘোষণা করে কার্যকর ব্যাবস্থা গ্রহণ করার প্রার্থনা করিতেছি।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ