ফেনী জেলা আইনজীবি সমিতির সদস্য এডভোকেট ওবায়দুল হক মজুমদারের ঘর আগুণে ভস্মিভুত হয়েছে বিগত ৪ জানুয়ারী।রহস্য এখনও উদঘাটিত না হওয়ায় প্রগতিশীল আইনজীবি পরিষদ ফেনীর আহ্বায়ক এড সমীর চন্দ্র কর সদস্য সচিব এডভোকেট সামসুদ্দিন মজুমদার সাচ্চু ক্ষোভ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

১৮ জানুয়ারী প্রগতিশীল আইনজীবি পরিষদ ফেনীর এক প্রতিনিধি দল ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার ৩নং দরবারপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বরইয়া গ্রামের মজুমদার বাড়ীতে এডভোকেট ওবায়দুল হক মজুমদারের ক্ষতিগ্রস্ত বসত ঘর পরিদর্শন করেন।

 

আইনজীবি নেতৃবৃন্দ এবং সাংবাদিকরা ক্ষতিগ্রস্ত ঘর দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন। দেখা যায় এড. ওবায়দুল হক মজুমদারের দ্বিতল পাকা ঘরের উপর টিনশেড ঘর সম্পূর্ণ রূপে ভস্মিভ‚ত হয়। বিল্ডিংয়ের নিচ তলায় ক্ষতি না হলেও উপরে অগ্নিকান্ড ঘটা রহস্যবৃত।

এডভোকেট ওবায়দুল হক জানান, তার বাসায় কোন ছোট বাচ্চা নাই। বাড়ীর লোক জনও কম, অনেকে বাড়ীতে থাকেন না। বিদ্যুৎ মিটার ও সার্কিট অগ্নিকান্ড ঘটা তা রহস্য বৃত। তিনি জানান তার পরিবারের লোকজন নিচ তলায় ছিল। অথচ তারা কেহই অগ্নিকান্ডের সংগঠিত হওয়ার বিষয় টের পান নাই। তারা জানান, পরিকল্পিত ভাবে অগ্নিপাতের সুত্রপাত হতে পারে। তারা আরো জানান অগ্নি সুত্রপাত হওয়ায় পর পরই ফায়ার সার্ভিস ফুলগাজী ইউনিট উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। ফায়ার সার্ভিস ফুলগাজী ইউনিট এখনো অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত এবং রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারে নাই। এলাকাবাসী এবং ভুক্তভোগী মজুমদার পরিবারের সদস্যরা জানান সময় মতো ফায়ার সার্ভিস আসায় এবং আগুন নিয়ন্ত্রন করায় মজুমদার বাড়ীর অনেকে রক্ষা পেয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসীর সহায়তায় রক্ষা পেয়েছে বাড়ীর অনেক পরিবার। আগুন ছড়াইয়া পড়লে পুরো বাড়ী জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যেত। ক্ষয় ক্ষতি অনেক বেশী হতো। এডভোকেট ওবায়দুল হকের অগ্নিকান্ডে ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা ক্ষতি হয়েছে।

এডভোকেট ওবায়দুল হকের সাথে এলাকার কতেক লোকের সাথে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ এবং মামলা মোকাদ্দমা থাকায় তাকে বিরোধী পক্ষে প্রতি কোন অভিযোগ আছে কিনা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন আমি কাহাকেও দোষী করছি না। আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি। আমি আশা করি অদুর ভবিষ্যতে রহস্য উদ্ঘাটন হবে। সত্য প্রাকাশ পাবে। আমি কাহারো কোন ক্ষতি করি নাই এবং কাহারো অমঙ্গল কামনা করি না। আমি শুধু রহস্য উদ্ঘাটন করার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি। তিনি আরো জানান, আমরা ৮ ভাই ৩ বোন, ২ জন মারা গেছেন। জীবিত আছেন ৬ জন সকল ভাইরা জীবন জীবিকার তাগিদে বিদেশে এবং কর্মস্থলে আছেন। বাড়ীতে অনেকেই থাকেন না। এড. ওবায়দুলহক মজুমদারের মৃত পিতা মরহুম হাজ¦ী শুক্কুর মিয়া মজুমদার তিনি এলাকায় প্রভাবশালী ছিলেন। দক্ষিণ বরাইয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং জুনিয়র হাইস্কুলের এবং স্থানীয় মসজিদের জমি দাতা ছিলেন।

এড. মো: ওবায়দুল হক ফেনী বারে আইন পেশায় নিয়োজিত থাকলেও তিনি সিলেট বার আইনজীবি সমিতির সদস্য। তিনি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। তিনি সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন ফেনী জেলা শাখার সহ সভাপতি।

 

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ