পঞ্চগায়ের শিক্ষা ও ক্রীড়ার সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যকে সামনে রেখে অত্র এলাকার উদীয়য়মান তরুণ সমাজের উদ্যেগে অত্র চার, গ্রামের মাঝখানে পাঠাননগর কাছারী বাজারে জি.পি.এস ইয়ং ক্লাব নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। জি.পি.এস ইয়ং ক্লাব এর প্রথম সভাপতি মরহুম এমদাদুল হক মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক মরহুম আলী আহাম্মদ শাহজাহান ভূঁইয়া। তাদের সাথে সহযোগী মরহুম ডাক্তার মফিজুর রহমান মিঝি, অহিদুর রহমান খোন্দকার, মাষ্টার সফিকুর রহমান, মরহুম আবুল খায়ের মজুমদার, মুন্সী নুরের ছফা। এদের সাথে বিভিন্ন ভাবে আরও সহযোগীবৃন্দ হলেনক- তৎকালীন মুরব্বীদের মধ্যে মরহুম হাজী ছিদ্দিক আহাম্মদ মজুমদার, মরহুম মেম্মার আবদুর হাকিম মজুমদার, মরহুম রাজা মিয়া মেম্বার, মরহুম আবদুল গণি ভূঁঞা, মরহুম মেম্বার সুলতান আহাম্মদ মজুমদার, মরহুম সুজা মিয়া সওদাগর, সামছুল হক পাটোয়ারী। অত্র এলাকার জনগণের সহযোগীতায় জি.পি.এস ইয়ং এর সামাজিক উন্নয়নে এবং খেলাধুলার উন্নয়নে অধিক গুরুত্ব আরোপ করিয়া সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তৎকালীন কলেজ পড়–য়া বিশেষ করে প্রগতিশীল ছাত্রগণ শিক্ষার উন্নয়নের স্বার্থে কর্মসূচী গ্রহণ করার মনস্থ করে যেহেতু অত্র এলাকা ছিল শিক্ষা ক্ষেত্রে অনগ্রসর । তাই জি.পি.এস ইয়ং ক্লাব এর বিলুপ্তি ঘটিয়া শিক্ষার সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে ১৯৬৭ অগ্রণী সংসদের নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী অরাজনৈতিক সংগঠন গঠনের প্রয়োজনীয়তা প্রবলভাবে দেখা দেয় । অত্র এলাকার উদীয়মান সমাজকর্মী সংঘঠকবৃন্দ বিশেষ করে মরহুম ইঞ্জিনিয়ার শাহ আলম মজুমদার, অধ্যাপক মোহাম্মদ উল্যাহ, এডভোকেট আবদুর ও,মরহুম আলী আহাম্মদ আল শাহজাহান ভূঁইয়া, নুরুল আলম মজুমদার, আবদুল জলিল ভুঞা যুব সমাজকে সংগঠিত করে একটি অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। অগ্রণী নামটি মরহুম ইঞ্জিনিয়ার শাহ আলম মজুমদার নামকরণ করেন। অগ্রণী অর্থ হচ্ছে অগ্রগামী। উল্লেখিত উদ্যোক্তাবৃন্দের উদ্যোগে ১৯৬৭ সালে পাঠাননগর কাছারী বাজারে অগ্রণী সংসদ গঠিত হয়। এলকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে অত্র সংগঠনের কার্যক্রম আরম্ভ হয়। ১৯৬৭ সালের জানুয়ারী মাসে প্রথম কার্যকরী পরিষদ গঠিত হয়। প্রথম কার্যকরী পরিষদের সভাপতি মরহুম শহিদুল আলম মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক হলেন এডভোকেট আবদুর রব। কার্যকরী পরিষদের কার্যকরী ব্যস্ত বায়নে আরো যাহারা সহযোগিতা করেন তারা হলেন ১) এডভোকেট তাজুল হক ইসলাম চৌধুরী ২) আবু ইউসুফ মজুমদার ৩) মাহবুবুল হক ৪) আবুল খায়ের মজুমদার ৫) আমির হোসেন মজুমদার ৬) শাহজাহান মজুমদার ৭) মরহুম ছিদ্দিকুর রহমান পঞ্চায়েত ৮) আবদুস সাত্তার ৯) আলী আহাম্মদ ১০) আবদুল হাদী ১১) জালাল আহাম্মদ ১২) মাষ্টার আবুল খায়ের ১৩) আবদুর সিরাজ উদ্দৌলা মজুমদার ১৪) আবদুর হাই মাসুম ১৫) শহিদ উল্যাহ চৌধুরী ১৬) আবদুর রউফ ভুঁঞা ১৭) মাষ্টার আমিনুল হক পাটোয়ারী ১৮) নুরের জামান ১৯) আবু তাহের চৌধুরী। প্রথম কার্যকরী পরিষদের মাধ্যমে অত্র এলাকার বয়স্ক শিক্ষা, সেলাই প্রশিক্ষণ, রাস্তা সংস্কার, বৃক্ষরোপণ অভিযানের, সালিশী বোর্ড গঠন, দরিদ্র মেয়েদের বিয়েতে সাহায্য, বিয়ে অনুষ্ঠানের সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয় ও কুঠির শিল্প স্থাপন করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

 

 

স্বাধীনতা পর অত্র এলাকার একটি উচ্চ বিদ্যালয় গঠনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। স্কুল প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক পর্যায়ে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের যেমন মরহুম হাজী ছিদ্দিক আহম্মদ মজুমদার, মৌলভী আবদুর ছোবহান মজুমদার, অহিদুর রহমান খোন্দকার ও আরো গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে গোপনে যোগাযোগ করেন এবং পরবর্তীতে পোষ্টারিং এর মাধ্যমে জনগণকে অবহিত করা হয় এবং একটি জনসভার মাধ্যমে জনমত সৃষ্টি করা হয়। জনসভায় সর্বপ্রথম জমিদাতা মরহুম নজির আহাম্মদ কেরাণী, ১৯৭৩ সালে পাঠান নগর কাছারী

 

 

মোঃ আরিফুর রহমান (আরিফ)
প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক
অগ্রণী সংসদ

 

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ