প্রস্টেটের বড় সমস্যা হলো প্রস্টেটের বৃদ্ধি, প্রস্টেটাইটিস ও প্রস্টেট ক্যান্সার। এর মধ্যে প্রস্টেট ক্যান্সার নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরীসাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ

পুরুষের যৌনাঙ্গের একটি অংশ হলো প্রস্টেট। এই গ্রন্থি বসে আছে মূত্রথলির নিচে আর ঘিরে আছে মূত্রনালিকে। এর আকৃতি একটি আখরোটের মতো।

বয়স হলে এটি আয়তনে বাড়তে পারে। এর প্রধান কাজ হলো বীর্য তৈরিতে সাহায্য করা। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেহের হরমোনেও কিছু কিছু পরিবর্তন হয়ে থাকে। হরমোনের এই পরিবর্তনকেই প্রস্টেট গ্রন্থির বৃদ্ধির কারণ হিসেবে গণ্য করা হয়।
নেই কোনো আগাম উপসর্গ
প্রস্টেট গ্রন্থির কোষগুলো অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে থাকলে প্রস্টেট ক্যান্সার হয়। ৫০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষ এই ক্যান্সারে ভুগে থাকে। প্রস্টেট ক্যান্সারের আগাম কোনো উপসর্গ দেখা যায় না। তাই যারা ঝুঁকিতে আছে তাদের আগেভাগেই সতর্ক হতে হবে।
প্রতিরোধক ব্যবস্থা নিলে প্রস্টেট ক্যান্সার ঠেকানো যাবে। আগাম চিহ্নিত করতে প্রস্টেট স্ক্রিনিং, নিয়মিত চেকআপ করা প্রয়োজন।প্রস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কী কী?
* বেশি বয়স

* পারিবারিক ইতিহাস

প্রতিরোধে করণীয়
স্বাস্থ্যকর ডায়েট ও লাইফস্টাইল অনুসরণ : ফল ও সবজি খেতে হবে। ট্র্যান্স ফ্যাট এড়িয়ে হেলদি ফ্যাট খেতে হবে। যেমন—জলপাই তেল, বাদাম, বীজ খাওয়া।

হাই ফ্যাট ও হাই প্রটিনযুক্ত খাবার গ্রহণ করা কমাতে হবে।ওজন নিয়ন্ত্রণ করা : স্থূলতা এই ক্যান্সারের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি। ব্যায়াম করার পাশাপাশি কাজকর্মে সক্রিয় থাকতে হবে।ভিটামিন ডি গ্রহণ বাড়ানো : কডলিভার তেল, ভিটামিন পিল আর রোদ পোহাতে হবে।

ধূমপান বন্ধ এবং মদ্যপান সীমিত করতে হবে।

কী কী টেস্ট করা হয়?
প্রস্রাবের সমস্যা থাকলে প্রস্রাবের রুটিন টেস্ট করাতে হবে। রক্তে  পিএসএ পরীক্ষা প্রস্টেট স্পেসিফিক অ্যান্টিজেন টেস্টের মাত্রা দেখে ইউরোলজিস্ট পরামর্শ দেবেন কী করতে হবে। এ ছাড়া ডিজিটাল রেক্টাল এক্সামিনেশন করা হয়। কিছু টেস্ট বিব্রতকর আর অস্বস্তিকর হলেও প্রয়োজনে করতে হয়। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পিএসএ পরীক্ষার ফল দেখে সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা।

সুত্র: কালের কন্ঠ

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ