নিজের জমিতে ঘর তুলতেও চাঁদা দিতে হয় -গোলাম মোহাম্মদ কাদের
![নিজের জমিতে ঘর তুলতেও চাঁদা দিতে হয় -গোলাম মোহাম্মদ কাদের](https://dailyprotibha.com/wp-content/themes/pitw-press/images/default-image.jpg)
![](https://dailyprotibha.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
নিজের জমিতে ঘর তুলতেও চাঁদা দিতে হয়
-গোলাম মোহাম্মদ কাদের
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১০ মার্চ- ২০২২ : জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, প্রতিদিন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েই চলছে। আজ একটির দাম বেশি, কাল অন্যটির দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। প্রতিদিন মানুষের ব্যয় বাড়ছে কিন্তু আয় বাড়ছে না। প্রতিদিন বেকারের সংখ্যা বাড়ছে কিন্তু কর্মসংস্থান বাড়ছে না। দেশের মানুষের সার্বিক নিরাপত্তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নেই, সামাজিক নিরাপত্তা নেই, সড়কে বের হলে জীবনের নিরাপত্তা নেই, স্বামী ও সন্তান নিয়ে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হচ্ছেন নারী, ইজ্জতের নিরাপত্তা নেই। নিজের ঘরেও মানুষের নিরাপত্তা নেই। এখন নিজের জমিতে ঘর তুলতেও চাঁদা দিতে হয়। মানুষ জানে না, কার কাছে গেলে কী সমাধান পাওয়া যায়।আজ বেলা ১১টায় রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় বর্ধিত সভার উদ্বোধনী বক্তৃতায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি একথা বলেন।এসময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, দেশের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নাজুক হয়ে পড়েছে। দেশের কোথাও জবাবদিহিতা নেই। পরতে পরতে দুর্নীতি ছেয়ে গেছে, প্রতিদিনই দুর্নীতি বাড়ছে দেখার যেনো কেউ নেই। এভাবে চলতে পারে না, দেশের মানুষ এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চায়।এসময় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, রাশিয়া বনাম ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে বিশ্ব দুই ভাগ হয়ে পড়েছে। যুদ্ধের জন্য অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হয়েছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। যুদ্ধের এই বিরূপ প্রভাবের ঢেউ বাংলাদেশের রাজনীতিতেও লেগেছে। তাই দেশের রাজনীতি কোন পথে যায় নিশ্চিত করা বলা যায় না। দেশে রাষ্ট্র পরিচালনার অভিজ্ঞতা মাত্র তিনটি দলের রয়েছে, তারমধ্যে জাতীয় পার্টি অন্যতম। তাই আগামী দিনের রাজনীতীতে জাতীয় পার্টির সম্ভাবনা আছে। আর এজন্যই দলকে সুসংগঠিত করতে হবে। জাতীয় পার্টি সংগঠিত হয়ে গণমানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নেতৃত্ব দেবে। তিনি বলেন, বেগম রওশন এরশাদ এখন অনেকটা সুস্থ, তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় হতে না পারলেও আমাদের পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করতে পারবেন। জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাবে। যারা জাতীয় পার্টির ঐক্য বিনষ্ট করতে অপচেষ্টা চালাবে তারা কখনোই সফল হবে না।এসময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেন, দেশের বাজার নিয়ন্ত্রণে বর্তমান সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। দুর্নীতি, দুঃশাসন আর সরকারি দলের কর্মীদের অত্যাচারে দেশের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। সরকার বলে অনেক উন্নয়ন করেছে অথচ টাকা দিয়ে টিকেট কিনে মানুষ গণপরিবহনে উঠতে পারে না। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি আর কোনো জোটে নেই। আমরা স্বতন্ত্র রাজনীতি নিয়ে এগিয়ে যাবো। সকল অত্যাচার ও নির্যাতন উপেক্ষা করে জাতীয় পার্টি গণমানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সক্রিয় থাকবে। তিনশো আসনেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে এগিয়ে চলছে জাতীয় পার্টি।জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখেন- জাতীয় পার্টির মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য আবুল কাশেম, হাফিজ উদ্দিন, গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, সাহিদুর রহমান টেপা, এডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ফকরুল ইমাম এমপি, সৈয়দ মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, এসএম ফয়সল চিশতী, মীর আবদুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দি আহমেদ মিলন, এটিইউ তাজ রহমান, সোলায়মান আলম শেঠ, সফিকুল ইসলাম সেন্টু, ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরি এমপি, মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, এডভোকেট মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, সৈয়দ দিদার বখত, নাজমা আক্তার এমপি, আবদুস সাত্তার মিয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, এমরান হোসেন মিয়া, মেজর (অব) রানা মোহাম্মদ সোহেল এমপি, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম জহির, জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর উপদেষ্টা রওশন আরা মান্নান এমপি, শেরীফা কাদের এমপি, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, জহিরুল আলম রুবেল, এডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন,, অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুল, জামাল হোসেন, এডভোকেট লিয়াকত আলী খান, হারুন আর রশিদ, পনির উদ্দিন আহমেদ এমপি, হেনা খান পন্নী, নাজনীন সুলতানা, এডভোকেট মমতাজ উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদেলুর রহমান এমপি,মোস্তফা আল মাহমুদ, শফিকুল ইসলাম মধু, মুনিম চৌধুরী বাবু,জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, আমিনুল ইসলাম ঝন্টু, শফিকুল ইসলাম সরু চৌধুরি, এইচএম শাহরিয়ার আসিফ সহ কেন্দ্রীয়, বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।