বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময় দেশের ভংঙ্গুর অর্থনৈতিক কারন ও যুদ্ধ বিধ্বস্ত অবকাঠামোর কারনে শহর অঞ্চল গুলোর প্রতিষ্ঠিত মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলো যখন নিয়মিত পাঠদানে বেশ কাঠখড় পোহাচ্ছিল তখন ফেনীর অজো পাড়া গ্রাম ফেনী মহকুমার, ছাগলনাইয়া সার্কেলের প্রত্যান্ত অঞ্চল পাঠান নগরের কাচারী বাজারে কোন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছিল না। কাচারী বাজার ছিল মুলতঃ পাচঁটি গ্রামের কেন্দ্র স্থল, গ্রাম গুলো যথা ক্রমে সোনাপুর, গন্ত্যবপুর, কাতালিয়া, পাঠানগর ও পাঠানগড় এই ৫টি গ্রামের স্কুল পড়–য়া ছাত্র ছাত্রীরা অনেক পথ পাড়ি দিয়ে, যাদের আর্থিক সামর্থ মোটামুটি ভালো ছিল তারা বিভিন্ন শহরে গিয়ে পড়তো আর বাকিরা পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন জিএম হাট, মুন্সির হাট, কিংবা ছাগলনাইয়ায় গিয়ে পড়তো। এতে নিন্ম ও নিন্ম মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদেরে পড়া শুনার তেমন একটা সুযোগ ছিল না। সোনাপুর, কাতালিয়া থেকে রাস্তার মোড়ে শীত ও গরম কালে মাটির রাস্তায় পায় হেটে রাস্তার মোড়ে দিয়ে টেক্সী বা বাস ধরে বিভিন্ন স্কুলে যাওয়া সত্যি অনেকটা কষ্টের ছিল। বর্ষা সিজনে তো এই রাস্তায় কাঁদার জন্য পা দেওয়া বড় মুশকিল ছিল অবশ্য যারাই কষ্ট স্বীকার করে পড়া শুনা করেছিল তারা সত্যিকার ভাবে মানুষ হয়ে ছিল। কিন্তু তাদের সংখ্যা ছিল অতি নগন্য। পাঁচ গ্রামের ব্যাপক সংখ্যক জনগোষ্ঠির বিশেষ করে নারী সমাজের পড়া শুনায় অনগ্রসরতায় দেখে অনেকেই উদবিঘœ হলেন। তাদের মধ্যে অন্যতম চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র অধ্যাপক মোহাম্মদ উল্যাহ , ইঞ্জিনিয়র শাহ আলম মজুমদার, আলী আহম্মদ আল শাহজাহান, আমার পিতা তৎকালীন সরকারী কর্মচারী আলতাফ হোসেন সহ আমার মনে না পড়া অনেক গুনী জন একত্রিত হলেন পাঁচ গ্রামের কেন্দ্র স্থল কাচারী বাজারে কি ভাবে একটি হাইস্কুল প্রতিষ্ঠা করা যায় অবশ্য এই শিক্ষা অনুরাগী ব্যক্তিদেও পার্শে¦ এসে দাড়ালেন কাচারী বাজার অগ্রিনি সংসদ চলবে।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ