আবদুল হাই খোন্দকার সমাহিত হলেন সোনাপুর পারিবারিক কবরস্থানে।

বিশিষ্ট সমাজসেবক আবদুল হাই খোন্দকার

১৬ ডিসেম্বর -২৩
শ্রদ্ধা ভালোবাসায়

চির নিদ্রায় সমাহিত হলেন সোনাপুর পারিবারিক কবরস্থানে আবদুল হাই খোন্দকার।


বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই খোন্দকারকে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার পূর্বসোনাপুর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে ১৬ ডিসেম্বর বাদ যোহর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে।
খোন্দকার আবদুল হাই ১৫ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০টায় ফেনীর মিজান পাড়াস্থ নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাহি রাজেউন)।
তিনি সর্বশেষ ফেনী জেলা খাদ্য কর্মকর্তা হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল প্রায় ৭৫ বছর। গত করোনাকালীন সময়ে উনার স্ত্রী মারা যান। অবসরের পর তিনি নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন।
তাঁর মৃত্যু সংবাদে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। তার কফিন এলাকায় আসার সাথে সাথে হাজার হাজার লোক তাঁকে একনজর দেখার জন্য আসে।তিনি খুব মিশুক প্রকৃতির লোক ছিলেন। জীবনে কারো সাথে জগডা বিবাদে জডিত হন নাই। মানুষের সুখে দুঃখে থাকতেন।

জনাব খোন্দকার আবদুল হাই ফেনী জেলার ছাগল নাইয়া উপজেলার পূর্ব সোনাপুর গ্রামের মনগাজী খোন্দকার বাড়ির মরহুম নজীর আহমেদ খোন্দকারের কনিষ্ঠ পুত্র।
৪ কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক, বীর মুক্তিযোদ্ধা খোন্দকার আবদুল হাইয়ের একমাত্র ছেলে খোন্দকার ইয়াসির আরাফাত কমল ফেনীর দাগনভূইয়ার ইকবাল মেমোরিয়াল কলেজে অধ্যাপনা করছেন।
গতিয়া খোন্দকার জামে মসজিদ, গতিয়া আজিজুল হক উচ্চ বিদ্যালয়সহ এলাকার উন্নয়নে তার অবদান সরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
আজ বাদ জোহর নিজ বাড়ির দরজায় মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।তার জানাজায় গতিয়া আজিজুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও বিশিষ্ট সমাজসেবক আবদুল হাই ভূইয়া, প্রযাতের আত্বীয় স্বজন,আতাতুর্ক ইকবাল মেমোরিয়াল কলেজের শিক্ষকরা সহ বিপুল সংখ্যক এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
ফেনী জেলা গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা কল্যান পরিষদের সভাপতি এড শহীদ উল্লাহ ভূইয়া ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন ভূইয়া বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই খোন্দকারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ